২০শে মে, ২০২৫ ইং, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২০শে জিলক্বদ, ১৪৪৬ হিজরী

এমপি ফারুক চৌধুরীকে মন্ত্রীসভায় দেখতে চাই রাজশাহীবাসী। মাদারল‍্যান্ড নিউজ

প্রকাশিত: মাহবুব আলম জুয়েল(সম্পাদক)
আলিফ হোসেন, তানোর, রাজশাহীঃ
রাজশাহী-১ আসন বিএনপি-জামায়াতের আঁতুড় ঘর হিসেবে পরিচিত হলেও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ ফারুক চৌধূরী তার রাজনৈতিক দূরদর্শীতায় বিএনপি-জামায়াতের আঁতুড় ঘর তছনছ করে আওয়ামী লীগের বসত ঘরে পরিণত করে পর পর তিন বার বিএনপির প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে এবার আওয়ামী লীগের মন্ত্রীসভায় এমপি ফারুককে পূর্ণ মন্ত্রী করার দাবি করেছেন রাজশাহীর সব শ্রেণী-পেশার মানুষ। কারণ ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদের সরকারে রাজশাহী থেকে নির্বাচিত এমপি না থাকলেও দু’জনকে মন্ত্রী করা হয়েছিল। দশম ও একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও রাজশাহীর সবগুলো আসন আওয়ামী লীগ ও শরিক দল বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত, এমপি ফারুক চৌধূরীর পিতা শহীদ আজিজুল হক চৌধূরী ও মামা জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান হেনা দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। বর্নাঢ্য রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান এমপি ফারুক চৌধূরী তার রাজনৈতিক দূরদর্শীতায় বিএনপি-জামায়াতের (আতুড় ঘর) রাজশাহীকে আওয়ামী লীগের বসত ঘরে পরিণত করেছেন। এমপি ফারুকের রাজনীতিতে আশার আগে ও পরের আওয়ামী লীগের অবস্থান পর্যালোচনা করলেই সেটার প্রমাণ পাওয়া যায়। তাহলে দেশের জন্য যেই পরিবারের এমন ত্যাগের মহিমা রয়েছে আবার সেই পরিবারের সন্তান একটানা পর পর তিন বার বিপুল ভোটের ব্যবধানে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি কেনো আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী সভায় পূর্ণ মন্ত্রী হবেন না এটাতো এই জনপদের সব শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রাণের দাবী। বঙ্গবন্ধু কন্যা, বিশ্বমানবতার অগ্রদূত, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে রাজশাহীর সব শ্রেণী-পেশার মানুষের আকুল আবেদন এবার তার সরকারের মন্ত্রী সভায় এমপি ফারুককে পূর্ণ মন্ত্রী করা হোক। বর্নাঢ্য রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান ও জীবনের অধিকারী এমপি ফারুক চৌধূরীকে মন্ত্রীসভায় স্থান দেয়ার দাবী এই অঞ্চলের সকল মানুষের তারা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাধীনতার পর জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারে পূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম, শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান হেনা। এরপর জিয়াউর রহমানের আমলে পূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন, রাজশাহীর মরহুম এমরান আলী সরকার। আরেক সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদের আমলে যথাক্রমে রাজশাহীর মেসবাহ উদ্দীন আহম্মেদ বাবলু উপমন্ত্রী, সরদার আমজাদ হোসেন পূর্ণ মন্ত্রী এবং মরহুম নুরুননবী চাঁদ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এরপর ১৯৯১ সালে বেগম খালেদা জিয়ার সরকারে এ্যাডভোকেট কবির হোসেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী ও ব্যারিষ্টার আমিনুল হক সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯৬ সালের শেখ হাসিনার সরকারে সংরক্ষিত সাংসদ অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদার উপ-মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এছাড়াও বিএনপির দলীয় সাংসদ ডাঃ আলাউদ্দীন শেখ হাসিনার সরকারের মন্ত্রীসভায় যোগদান করলে ফ্লোরক্রসিংয়ের অভিযোগে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান। এরপর তাঁর আসনে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়ে ডাঃ আলাউদ্দীন পুনরায় মন্ত্রী হন। ২০০১ সালে বেগম খালেদা জিয়ার সরকারে রাজশাহী-১ আসনের সাংসদ ব্যারিষ্টার আমিনুল হক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রীর পদ ছাড়াও সংস্থাপন প্রতিমন্ত্রীর অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন। বিগত ২০০৮ সালে আওয়ামী সরকারে শেষ সময়ে শিল্প প্রতিমন্ত্রী করা হয় এমপি ফারুক চৌধূরীকে এবং ২০১৪ সালে আওয়ামী সরকার গঠন করলে রাজশাহী-৬ আসনের সাংসদ শাহারিয়ার আলমকে করা হয় পররাস্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এদিকে ২০১৮ সালে একাদ্বশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবারো সরকার গঠন করেছে এবার রাজশাহী-১ আসনের সাংসদ ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধূরীকে মন্ত্রীসভায় পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই রাজশাহীর দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ এই অঞ্চলের এসব মানুষের প্রাণের দাবী একটাই এমপি ফারুককে পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দেখতে পাওয়া।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, বর্নাঢ্য রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধূরীর নিরলস পরিশ্রম ও রাজনৈতিক দুরদর্শিতায় এই অঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত, সাংগঠানিক কার্যক্রম গতিশীল ও নেতাকর্মীদের মধ্যে ফিরে এসছে প্রাণচাঞ্চল্য। দশম সংসদ ব্যতিত এখান থেকে যারাই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তাঁরা সব সময় সরকারের মন্ত্রী সভায় ঠাঁই পেয়েছে। এদিকে বিএনপির (সাবেক) পূর্ণ মন্ত্রীর এলাকা থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে এক টানা পর পর তিন বার নির্বাচিত হয়েছেন এমপি ফারুক। ফলে তাকে এবার পূর্ণ মন্ত্রী করা না হলে এই অঞ্চলের লাখো-কোটি মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হবে। এসব বিবেচনায় এমপি ফারুক চৌধূরীর পূর্ণ মন্ত্রী হবার দাবীর প্রতি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী-সমর্থকসহ এই অঞ্চলের সব শ্রেণী-পেশার মানুষের সমর্থন প্রতিনিয়ত বাড়ছেই। রাজশাহী অঞ্চলের দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের প্রাণের দাবি এখন একটাই এমপি ফারুক চৌধূরীকে পুর্ণ মন্ত্রী হিসেবে দেখতে পাওয়া। #

Share Button


     এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ